ট্রাইজেমিনাল শোয়ানোমার সার্জারি সাধারণত তখনই করা হয় যখন টিউমারটি আকারে বড় হয় এবং নিচের উপসর্গগুলো দেখা দেয়:

* মুখমণ্ডলের এক পাশে ব্যথা, অসাড়তা, বা ঝিনঝিন অনুভূতি।

* চিবানোর মাংসপেশীর দুর্বলতা।

* অন্যান্য স্নায়ুর উপর চাপ পড়ার কারণে চোখে ঝাপসা দেখা বা কানে শোনার সমস্যা।

* মাথা ব্যথা।

ট্রাইজেমিনাল শোয়ানোমা অপসারণের জন্য বিভিন্ন ধরনের সার্জিক্যাল পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। নিউরোসার্জনরা টিউমারের সঠিক অবস্থান এবং আকারের উপর নির্ভর করে সবচেয়ে উপযুক্ত পদ্ধতিটি নির্বাচন করেন। কিছু প্রধান পদ্ধতি নিচে আলোচনা করা হলো:

* মাইক্রোসার্জারি (Microsurgery): এটি সবচেয়ে প্রচলিত পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে একটি ছোট কাটা অংশের মাধ্যমে মাথার খুলি উন্মুক্ত করে একটি মাইক্রোস্কোপ ব্যবহার করে টিউমারটি সাবধানে অপসারণ করা হয়। এই পদ্ধতির মূল লক্ষ্য হলো টিউমার পুরোপুরি অপসারণ করা এবং ট্রাইজেমিনাল স্নায়ু ও আশেপাশের গুরুত্বপূর্ণ স্নায়ুগুলোর কার্যকারিতা রক্ষা করা। এই ধরনের সার্জারিতে সাধারণত উচ্চ-মানের যন্ত্রপাতি এবং বিশেষ দক্ষতা প্রয়োজন হয়।

যেকোনো বড় সার্জারির মতোই ট্রাইজেমিনাল শোয়ানোমা সার্জারিরও কিছু ঝুঁকি রয়েছে, যেমন:

* মুখমণ্ডলের অসাড়তা: সার্জারির পর ট্রাইজেমিনাল স্নায়ুর কার্যকারিতা সাময়িকভাবে বা স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, যার ফলে মুখমণ্ডলে অসাড়তা বা ব্যথা অনুভূত হতে পারে।

* অন্যান্য স্নায়ুর ক্ষতি: সার্জারির সময় আশেপাশের অন্যান্য করোটীয় স্নায়ু (যেমন: শ্রবণ বা দৃষ্টি সংক্রান্ত স্নায়ু) ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

* রক্তপাত বা সংক্রমণ: অন্যান্য সার্জারির মতো এখানেও রক্তপাত বা সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে।

তবে আধুনিক মাইক্রোসার্জিক্যাল কৌশল এবং নিউরোসার্জিক্যাল দক্ষতার উন্নতির কারণে এই ধরনের সার্জারির ফলাফল এখন অনেক ভালো। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই টিউমারটি সফলভাবে সম্পূর্ণরূপে অপসারণ করা সম্ভব হয়, যার ফলে উপসর্গগুলো দূর হয়।